এবার যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘আনাড়ি’ দলের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে এর আগে যে দলটা শুধুমাত্র আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পেরেছে সেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ। এদিন ব্যাটে-বলে বিবর্ণ ছিল টাইগাররা। বাংলাদেশের এমন হার নিয়ে সমালোচনা চলছে সর্বোত্র।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বরাবরের মতো একই কথাই বললেন, পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা। বাংলাদেশের হয়ে আগে ব্যাটিং করতে নেমে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহর রিয়াদের ৩১ রানের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে।
যার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রকে আটকাতে পারেননি টাইগার বোলাররা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসনের ৬২ রান করে ৩ বল হাতে রেখেই স্বাগতিকদের জয় এনে দেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে এতো কম রান তোলা কতটা মানানসই এমন প্রশ্নে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, (ব্যাটিং নিয়ে) দুশ্চিন্তার কিছু নেই কারণ প্রত্যেকটা ব্যাটার তাদের স্কিল নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবাই জানি যে টপ অর্ডারদের ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে আমাদের সবারই দায়িত্ব সমান।
ব্যাটাররা এটা নিয়ে কাজ করছে। হ্যাঁ এই জায়গায় আমরা অনেকদিন ধরে কাজ করছি। আশা করবো যে সামনের ম্যাচ থেকে ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারবে সবাই। অবশ্যই ইনটেন্ট নিয়েই চেষ্টা করে প্রত্যেকটা ব্যাটার। পরের ম্যাচে যখন ব্যাট করবো চাই না ১১ বলে ১৫-২০ রান করতে। চাইবো এর থেকে বেশি বল খেলতে, বেশি রান করতে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সুযোগ–সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, এগুলা নিয়ে কোনো অজুহাত নেই। যেরকম ফ্যাসিলিটি আছে এগুলোর মধ্যেই খেলতে হবে আমাদের। আমরা জানি না বিশ্বকাপ শুরু হলে কী পরিস্থিতি থাকবে। এটা সবাই এডজাস্ট করছে এবং এটা নিয়ে কারও কোনো অজুহাত নেই।
এ ছাড়া সিরিজ শুরুর কয়েকদিন আগে ঝড়ের কবলে পড়েছিল হিউস্টনের প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্স। এরপর দ্রুত মাঠ প্রস্তুত করার জন্য গ্রাউন্ডসম্যানদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক বলেন, মাঠ তৈরি করতে এখানে সবাই অনেক কাজ করেছে। হয়তো আমরা আজ না–ও খেলতে পারতাম। কিন্তু আমরা খেলতে পেরেছি। আশা করছি সামনের ম্যাচগুলোয় মাঠ আরও ভালো থাকবে।